সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন
সাদের হোসেন বুলু:: স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে একাধিক রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। দোহার-নবাবগঞ্জবাসীর ভোটে অনেকেই মন্ত্রী, এমপি হয়েছেন। কিন্তু এই অঞ্চলের উন্নয়নে তাঁরা কাজ না করায় দীর্ঘ সময় পিছিয়ে ছিলো এ উপজেলা দুটি। বর্তমান সরকার তাঁর বিভিন্ন উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার আওতায় এই অঞ্চলকে ধীরে ধীরে গ্রাম থেকে শহরে রুপান্তর করার চেষ্টা করছেন এখন দাবি স্থানীয়দের।
জানা যায়, বিগত সময়ে নদীর ভাঙ্গনে দোহার ও নবাবগঞ্জের অসংখ্য মানুষ কৃষিজমি, ঘরবাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেছে। বিশেষ করে দোহারের পদ্মা ও নবাবগঞ্জের কালিগঙ্গা নদীর তীব্র ভাঙ্গন বহু মানুষকে দারিদ্রতার দিকে ঠেলে দিয়ে ভূমিহীন বানিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন বলেন,আওয়ামী লীগ সরকার স্মাট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় হিসেবে দীর্ঘ মেয়াদী কৌশল গ্রহন করেছে। এর মধ্যে অন্যতম বন্যা ও নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বজ্য ব্যবস্থাপনা ও বন্যা নিয়ন্ত্রন ও নিস্কাশন ব্যবস্থাপনা। যা স্মাট বাংলাদেশ গড়তে অতি প্রয়োজনীয় বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর স্মাট বাংলাদেশের স্বপ্নকে রুপ দিতে দোহার ও নবাবগঞ্জবাসীকে পদ্মা ও কালিগঙ্গা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও দোহার নবাবগঞ্জ (ঢাকা-১) আসনের সংসদ সদস্য সালমান ফজলুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ চলছে। পদ্মা ও কালিগঙ্গা নামক নদী দুটিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ শেষ হলে দোহার উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী জনসাধারন ও নবাবগঞ্জের কালিগঙ্গার পাড়ের মানুষ নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। শত বছরে দুঃখের অবসান হবে বলে তিনি মনে করেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, জাতীয় পার্টি, বিএনপি জামাত জোট দীর্ঘ সময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলো। কিন্তু তাদের সময়ে দোহার নবাবগঞ্জে গ্রামীণ সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন উন্নয়ন হয় নাই। মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব ছিলো। সেসময় স্থায়ী কোন শিল্প- কারখানা গড়ে না উঠায় এই অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ রাজধানী মূখী হয়। এছাড়া কর্মমূখী শিক্ষার সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান না থাকায় মধ্যপাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে সামান্য বেতনে কাজ করছে দোহার ও নবাবগঞ্জের অগণিত শ্রমিক।
আমাদের দোহার নবাবগঞ্জ (ঢাকা-১) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সালমান ফজলুর রহমান দোহার নবাবগঞ্জে সার্বিক উন্নয়নে, গ্রামীণ সড়ক, সেতু সংস্কারসহ নতুন রাস্তা ও সেতু তৈরী করছেন। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে মডেল মসজিদ, মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস, গরিব অসহায় মানুষের জন্য (বসত বাড়ি) ব্যবস্থা করেছেন। নবাবগঞ্জের যন্ত্রাইল ইউনিয়নে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে। একাধিক কলেজ ও স্কুল সরকারি করণ করা হয়েছে। এছাড়া খুব শীঘ্রই নতুন শহরে রুপান্তরিত করা হবে নবাবগঞ্জের কলাকোপা ইউনিয়ন। প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশীপের মাধ্যমে কলাকোপা সিভিক সিটি নির্মানের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জের উন্নয়নের বিষয়ে দোহার নবাবগঞ্জ (ঢাকা-১) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, রাজধানীর নিকটবর্তী এ উপজেলার মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যে অগ্রসর হোক এটাই আমার প্রত্যাশা। আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন দেশী বিদেশী ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা এ অঞ্চলে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে। সেই জন্য উপজেলা সদরের কলাকোপাকে সিভিক নগরীতে পরিণত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর নিবার্চনী অঙ্গীকার গ্রাম হবে শহর এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হবে।